পিঁপড়ের কামড়
কী রে, তোর মুখে তো কেটে বসানো সত্যদার মুখ ! তোর বাবা কে রে --? এই কথা শুনলে গায়ে জ্বালা করত সিতুর । সুযোগ পেলেই পাড়ার অসীমদা কথার চিমটি কাটত। সত্যব্রতকাকুকে নিয়ে এ কথার মানে কী ! ক্লাস সিক্সে পড়া সিতু পুরোটা বুঝতে না পারলেও, কথাটি যে একটি খারাপ ইঙ্গিত বহন করে সেটা বুঝতে কোনো অসুবিধে হত না। ছোট্ট সিতু ভাবে, সত্যকাকু তাদের বাড়ির ভাড়াটে । তাঁর
মুখের সঙ্গে আমার মুখ মিলবে কেনো ! বাড়িতে বলতে পারেনি কোনোদিন। কিছুকাল পরে বুঝতে শিখলে। লজ্জ্বায় ঘৃণায় মুখ লাল হয়ে যেত। অসীমদার বাবার বদলির চাকরি ছিল। ওরা পাড়া থেকে চলে গেলে আর কেউ বলত না কিছু এ নিয়ে। কিন্তু ওই শ্লেষ মেশানো কথা রয়ে যায়। একটি পিঁপড়ে কামড়ের মত।
অসীমদার দাঁত বের করা হাসি হাসি মুখ আর অবিকল ওর মুখের মত দেখতে আরও একটি মুখ কিছু বলছে ওকে । অনেকদিন পরে, শেষরাতে এমন স্বপ্নে ঘুম ভেঙে গেল । পুরনো পিঁপড়ে কামড়ের ব্যথা অনুভব করল সিতু ।
No comments:
Post a Comment