ইম্পরট্যান্ট
পুজো সংখ্যার প্রুফ দেখার জন্য কচিদার বাড়িতে আসতেই দীপুকে কাজের মাসি ঘরের চাবি দিয়ে বলে, দাদা-বৌদি ডাক্তার দেখাতে শহরে গেছেন । আপনাকে কাজ করতে বলেছেন। রান্না করে গেছেন। টেবিলে সব গোছান আছে। সময় মতো খেয়ে নেবেন।
দীপু এক মনে প্রুফ দেখছিল। ডোরবেল বাজতে দরজা খুলে দেখে বৌদির বোন লাজসি দাঁড়িয়ে। মনে মনে খুশি হলেও দীপু বলে, তুমি?
ঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ করে লাজসি গেয়ে ওঠে , হাম তুম এক কামরে ম্যেঁ বনধ হো---
দীপু বলে, একা থাকবো জানলে কী করে ?
- দিদিকে ফোন করতেই জানতে পারি । তাই তো চুটিয়ে প্রেম করার সুযোগ হাতছাড়া করবো না বলে চলে এলাম।
- কিন্তু বৌদি বা কচিদা জানলে কী ভাববে ?
- ওরা আমাদের কথা সব জানে। আমি চা করে আনছি । জমিয়ে গল্প করবো।
ভিতরে যায় লাজসি। দীপু কাজে মন দেয় । চা নিয়ে লাজসি ঘরে আসে। সামনের কাগজ সরিয়ে বলে, আজ আর কোন কাজ নয়। শুধুই আমরা গল্পো করবো।
বলেই দীপুর গা ঘেঁসে বসে। চা খেতে খেতে দুজনে গল্পে মেতে যায়। কথা বলতে বলতে লাজসি দীপুকে জড়িয়ে ধরে কানে ফিসফিস করে গাঢ় স্বরে বলে, তোমার আদর খেতে এসেছি সোনা। আমায় আদর করো প্লিজ।
ভালোলাগা ও ভালোবাসার স্পর্শে দীপুর সংযম ভাঙতে থাকে। তলিয়ে যাওয়ার মুহূর্তে দীপু লাজসির বাহু বন্ধন আলগা করে দিয়ে বলে, লাজিসি , আমরা ভুল করছি। আমি এখনও সেটেল্ড নই। ক্ষমা করো আমাকে। কয়েকটা মাস সময় দাও প্লিজ। এসব বিয়ের পরই ভালো।
আহত বাঘিনির মতো লাজসি ঝাঁজিয়ে উঠে বলে, তোমার এই সতীপনা আর ভালো মানুষী সহ্য হয় না। তোমার বন্ধু সুপ্রিয় এ সুযোগ হাতছাড়া করতো না। আমি চললাম।
রাগে দরজা খুলে বেরিয়ে যায় লাজসি। হতবাক দীপু ওর যাওয়ার পথের দিকে তাকিয়ে থাকে।
ঘটনার তিনদিন পরে কচি দীপুর বাড়ি এসে বলে, লাজসির সাথে কী তোর কোন ঝগড়া হয়েছিল? লাজসি কাল সুপ্রিয়র সাথে বাড়ি ছেড়েছে। ওর ডায়েরিতে তোর সম্বন্ধে কিছু মন্তব্য লেখা দেখে তোর কাছে আসা।
একটা ডায়রি এগিয়ে দেয় কচি। নববর্ষে এই ডায়রি লাজসিকে দীপু দিয়েছিল। ডায়রি খুলে দীপু দেখে প্রথম পাতায় লাজসি লিখেছে, ।'দীপু কাপুরুষ।` ‘ দীপু ইম্পরটেন্ট। `
No comments:
Post a Comment