Monday, December 31

অণুগল্প : অমিত মুখোপাধায়




    উৎস


এদিকে  সব উঁচু বাড়ি।ফাঁক দিয়ে সরু পথের সারি।তার কিছু আবার প্রায় গলি।
এদিকের বেশির ভাগ বাড়ি দোকান, গুদাম বা একের মাঝে দুই।দাহ্য পদার্থে ভরা থাকে।
দিনদুপুরে সেখানে ধোঁয়া! বিপদে যেমন তারা জলদি ছাদে গিয়ে দেখে, লোকে তেমন উঠে যায়।
ওপর থেকে তারা ঝুঁকে দশ দিকে দেখতে থাকে।বুঝতে চেষ্টা করে।তেমন  কিছু হলে সময় বেশি মিলবে না যে! তাই খোঁজের ফাঁকে ছাদে ছাদে কথা চলে।কী ও কোথায় নিয়ে অনুমান বিনিময় হয় বার বার।
ধোঁয়া কি বাড়লো, নাকি সরলো? না, একই রকম বলে মনে হয় যে!
অকুস্থলটা বোঝা গেলে সুবিধে হতো!
হাওয়া ঘুরছে যে! নিচেও তাই লোক পাঠিয়েছি।
সময় যে গড়িয়ে যায়! প্রচুর মাল রয়েছে বলেই ভয়!
আগুন কিনা তা-ই তো এত সময় ধরে বোঝা গেল না!
কোন চা-ওলার ধোঁয়া নয় তো!
আরে বারণ না-শুনে অনেকে ময়লা পোড়ায় এখনো!
কী হয়েছে  কে জানে! চিন্তা হচ্ছে।
ধোঁয়াটাও তো কমে না, কেবল পাক খেয়ে ঠকিয়ে চলেছে!
এদিকে জলের ব্যবস্থাও যে তেমন নেই!
বোঝা গেলে দমকল ডাকা যেত, তাদের আসতে সময় লাগবে।
সেবার এ-ই করে আগুন কেমন ছড়িয়ে পড়েছিল!
হ্যাঁ, প্রচুর ক্ষতি হয়েছিল।… ও রঘু, এখনো কিছু বোঝা গেল না!
ছোটাছুটি তো করছে সবাই!
হ্যাঁ, আমরা উঁকি দিচ্ছি, তোরা ছুটছিস, ঝুঁকি তবু থেকেই যাচ্ছে!
এখন তো মনে হচ্ছে একাধিক জায়গা থেকে ধোঁয়া উঠছে! কী জ্বালা!
কপাল দাদা, জ্বলছে পুড়ছে অনেক কিছু, অনেক দিকেই, আজকাল সহজে উৎস টের পাওয়া যায় না!সব ঢাকাচাপা থাকে, লুকোনো থাকে যে নানা মিথ্যে দিয়ে!

  

No comments:

Post a Comment