Monday, December 31

গল্প : অলোক গোস্বামী





অচেনা বাতাস

গ্রিলে হাজার মাথা কুটলেও আকাশ চোখে পড়বেনা। শহর মানেই সবকিছু হাতের নাগালে শুধু আকাশ ছাড়া। যদিও এই মুহুর্ত্বে প্রয়োজনও নেই প্রমাণের। বিছানায় চিৎপাত থেকেও বলে দিতে পারব আজ আকাশ ঝকঝকে। সাবানে ধোয়া। কারণ ঘুম ভাঙার পর আমার কোন মন খারাপ নেই। এরকম সকালে বাড়িতে থাকলে নির্ঘাৎ ছুটে যেতাম বড় দিঘির পারে।মস্ত নিমগাছটার নীচে শুয়ে থেকে দেখতাম। কী দেখতাম জানিনা!
এটা মহানগর। এখানে বুড়ো নিমগাছ থাকলেও থাকতে পারে কিন্তু পাশে বড়দিঘি নেই। থাকলেও আমার যাবার উপায় নেই। খানিক বাদেই কলেজে ছুটতে হবে। আজ বি.এসের ক্লাস আছে। দারুণ পড়ান। পন্ডিত অথচ পড়ানোর মধ্যে কোন কেঠো ব্যাপার নেই। পড়াতে পড়াতে কি অনায়াসে সিলেবাসের বাইরে চলে যান এবং ফিরেও আসেন। গতকাল চর্যাপদ বোঝাতে বোঝাতে চলে গেলেন ভাষার সংকট প্রসঙ্গে। পৃথিবীর ছয় হাজার ভাষার মধ্যে নাকি কুড়ি থেকে পঞ্চাশ শতাংশ ভাষা মুছে যেতে বসেছে! একুশ শো সালের ভেতর নাকি সংখ্যাটা দাঁড়াবে নব্বই থেকে পঁচনব্বই শতাংশ! শুনছিলাম, এই সমস্যায় ভুগছে রাশিয়া, আয়ারল্যান্ড,তুরস্ক।অথচ মানুষ ছাড়া যেমন ভাষার অস্তিত্ব থাকেনা তেমনই ভাষা ছাড়া মানুষের অস্তিত্ব বিপন্ন হয়ে যায়। সংখ্যালঘু মানুষ যতদিন এটা না বুঝছে ততদিন এই ভাষা নিধন নাকি চলতেই থাকবে। ফলে অনেক সম্প্রদায় হারিয়ে ফেলবে তাদের সংস্কৃতি।
শুনতে শুনতে মনে হয়েছিল উঠে দাঁড়িয়ে জিজ্ঞেস করি,‍মানুষ ক্যান এই সমস্যাটা বুঝতে পারতেছে না স্যার!ক্যান আরেকটা ভাষা আন্দোলন হচ্ছে না? ক্যান সমোসকিতি রক্ষার আন্দোলনটাকে বিচ্ছিন্নতাবাদ কয়,স্যার?
ভাগ্যিস বলিনি। বললেই তো ঝুলি থেকে বেরিয়ে পড়া বেড়ালটাকে নিয়ে অবধারিত ভাবেই ক্লাসে নানা রকম খেলাধুলো শুরু হোত।
তবে বেশীদিন আমাকে ঠেকিয়ে রাখা যাবেনা। ওদের বুলি প্রায় রপ্ত করে এনেছি।সহজে বাড়ি যাইনা। তবে গ্রীষ্ম কিংবা পুজোর ছুটিতে বাড়ি গেলে চেষ্টা করি নিজের ভাষায় কথা না বলার। বাবা খুব খুশী হয়। দশজনকে ডেকে বলে,দেখি যান, মোর ছাওয়াটা ক্যানং সোন্দর ভাষাৎ কাথা কয়!
শুধু মা দুঃখ পায়। বলে,তর সাথৎ কাথা কয়া সুক পাইনা বাপো!মনে হয় ভোটের বাবু আইচ্চে।
মায়ের কথায় দুঃখ পেলে যেহেতু চলবেনা তাই ছুটি শেষ হওয়ার আগেই ফিরে আসি।আসার সময় মনে মনে বলি,তর হিমু একেই আছে মাও,শুদু দিন আসিবার দে।
গতমাসে একটা কান্ড ঘটেছিল। স্যর বলছিলেন,দক্ষিণ কোরিয়ার ধনাঢ্য মানুষেরা নাকি সন্তানদের প্ল্যাস্টিক সার্জেনদের হাতে ছেড়ে দেন, জিভ লম্বা করার জন্য, যাতে গড়গড়িয়ে ইংরেজি বলতে ভবিষ্যতে কোন অসুবিধে না হয়। শুনতে শুনতে স্যারের থেকে চোখ সরিয়ে তাকিয়ে ছিলাম জানলা দিয়ে বাইরে। সবুজে রাঙানো মাঠটা দেখতে গিয়ে হঠাৎ পৌঁছে গিয়েছিলাম রথতলার মাঠে। এতটাই অন্যমনস্ক হয়ে পড়েছিলাম যে ক্লাসের কথাটাই ভুলে গিয়েছিলাম। হুঁশ ফিরেছিল পাঁজরে গুঁতো খেয়ে। তাকিয়ে দেখি ক্লাস সুদ্ধ সবাই আমার দিকে তাকিয়ে আছে। এমন কী বি.এসও।
প্রথমে ভেবেছিলাম স্যার হয়ত খেয়াল করেছেন আমার বাইরে তাকিয়ে থাকা। এবার নির্ঘাৎ বকাবকি করবেন। কিন্তু স্যার তো দরজার দিকে তাকিয়ে! চোখটা দরজার দিকে সরাতেই যাকে দেখলাম তাতে আমি রীতিমত অবাক। ফিজিক্সের রূপা মিত্র দাঁড়িয়ে!
কেন এসেছে মেয়েটা? একেই তো সায়েন্সের ছেলেমেয়েরা মনে করে আমাদের কিছু জোটেনি জন্য বাংলা নিয়ে পড়তে এসেছি তার ওপর এই মেয়েটা তো আরও ভয়ংকর। কাউকে পাত্তা দেয়না। হাবেভাবে ঠিক যেন জন্মান্ধ। আশপাশের কাউকে দেখতেই পায়না। ছেলেগুলোও যে কেন এত হ্যাংলামি করে রূপার চোখে পড়ার জন্য কে জানে! কী এমন খুঁজে পায়ে ওই কেঠো চেহারার,লম্বা চোয়ালের ওই মেয়েটার মধ্যে কে জানে! সৌন্দর্যটাই বড় কথা নয়, মেয়েটার মধ্যে রুচিবোধেরও তো অভাব রয়েছে। কলেজে যা সব ড্রেস করে আসে যে তাকানই যায়না। শুধু ড্রেস কেন, বন্ধুত্বের রুচিই বা কী এমন আহামরি! সব সময় দেবব্রত ব্যানার্জির সঙ্গে সেঁটে থাকে। দেবব্রত কী টাইপের ছেলে সেটা কলেজ সুদ্ধ সবাই জানে অথচ মেয়েটার তাতে কোন পরোয়াই নেই।
চারপাশে তাকিয়ে দেখেছিলাম সহপাঠিদের চোখ আবেগে কাঁপছে। যেন সাক্ষাৎ দেবী সরস্বতী ক্লাসের দরজায় এসে দাঁড়িয়েছেন বর দিতে। শুধু সহপাঠিরা কেন, খোদ বি.এস এমন ভাবে ছুটে গিয়েছিল আহ্বান জানাতে যেন প্রিন্সিপাল এসেছেন। অথচ রূপা তাচ্ছিল্য মাখানো স্বরে বলেছিল, না,কাজ আছে। আমি শুধু একজনকে খুঁজতে এসেছি।
কথাটা শুনেই আমার শরীর জ্বলে উঠেছিল, খুব এসেছেন কাজ করনেয়ালা!কাজ মানে যে ক্লাস বাদ দিয়ে দেবব্রতের গায়ে হেলান দিয়ে বসে থাকা, সেটা কে না জানে!
জানা থাকা সত্বেও স্যার ভীষন চিন্তিত গলায় জানতে চেয়েছিলেন,কাকে খুঁজছ?
অভদ্র ভাবে কোমরে হাত রেখে রূপা বলেছিল, হেমন্ত রায়কে।
বি.এস ততধিক নম্র গলায় বলেছিলেন, নিয়ে যাও।
কিন্তু কারুর দান চট করে গ্রহণ করার ধাত তো রূপা দেবীর নেই তাই বিরক্তি মাখান স্বরে বলেছিল, আমি ঠিক চিনি না। শুনেছি বাংলা অনার্স নিয়ে এবারই উত্তরবঙ্গ থেকে এসে ভর্তি হয়েছে।আপনি ডেকে দিননা,প্লিজ।
সুযোগটা পেয়ে বি.এস ধন্য হয়ে গিয়েছিলেন। রুক্ষ স্বরে জানতে চেয়েছিলেন, তোমাদের মধ্যে হেমন্ত রায় কে? উত্তরবঙ্গ থেকে এসেছ।
স্যারের আদেশে ক্লাসময় হইচই শুরু হয়ে গিয়েছিল, কে সেই হেমন্ত রায়, যাকে খুঁজতে খোদ রূপা মিত্র পদধুলি দিয়েছে!
আমি জানালা দিয়ে ফের বাইরে তাকিয়ে ছিলাম তবে এবার উদাস হোতে পারিনি। ক্লাসের ছেলেরা ধরিয়ে দিয়েছিল। বাধ্য হয়েই উঠে দাঁড়িয়ে ছিলাম।
রূপা বলেছিল, একে নিয়ে যাই স্যার? উত্তরে স্যার এমন ভাবে ঘাড় হেলিয়ে ছিলেন যেন আমি স্যারের সম্পত্তি। বিন্দুমাত্র মায়া না করে স্যার সারা জীবনের জন্য রূপাকে তার সম্পত্তি দান করে দিলেন।
রূপা আমাকে নিয়ে ক্যান্টিনে এসে দু প্লেট ঘুগনি আর দুটো চায়ের অর্ডার দিয়েছিল। পেটে খিদে থাকায় আমিও ঘুগনির প্লেটে থাবা বসাতে দেরী করিনি।
--তুমি বাঁশি বাজাও?
রূপার আচমকা প্রশ্নে আমার বিষম খাওয়ার উপক্রম। এই খবর মেয়েটা জানল কি করে!বাঁশিটা সঙ্গে করে নিয়ে এসেছি বটে কিন্তু তেমন করে আর বাজাতে পারলাম কোথায়! মেসবাড়িতে কে দেবে আমাকে বাঁশি বাজাতে? তখন সবার পড়াশোনার ক্ষতি হয়ে যাবে না! একদিন ছাদে উঠে বাজানোর চেষ্টা করেছিলাম বটে কিন্তু পরদিনই প্রতিবেশীরা মেস মালিককে নালিশ করেছিল ঘুমের ব্যাঘাত ঘটেছে বলে।তাদেরই কি কেউ এই মেয়েটির পরিচিত?
--কি করে জানলে?
আমার পাল্টা প্রশ্নে বিরক্ত হয়েছিল রূপা,তুমি বাঁশিতে ভাইয়া গান বাজাতে পার কিনা সেটা বলো!
ঘুগনির প্লেটে পড়ে থাকা লঙ্কার কুঁচিগুলো খেতে খেতে বলেছিলাম, না, পারিনা।
নিমিষে ফ্যাকাসে হয়ে গিয়েছিল রূপার মুখ। লক্ষ্য করেছিলাম, নিমিষে মুখটায় ফুটে উঠেছিল একটা সারল্য, ঠিক যেন আমার গ্রামের কোন মেয়ে। অবশ্য আমাদের ওদিককার কোন মেয়ের মধ্যে এতটা চটক নেই।
আচমকা কেন যেন মায়া জেগেছিল। জানতে চেয়েছিলাম, হঠাৎ বাঁশির খোঁজ কেন?
ফের সপ্রতিভ হওয়ার চেষ্টা করেছিল রূপা, সে খোঁজে তোমার দরকার কি? তুমি বাজাতে জানো না, ব্যস, মিটে গেল।
তবে লাভ হলো না। আমি মুচকি হেসে বললাম, সত্যিই আমি বাঁশিতে ভাইয়া সুর বাজাতে জানিনা। নামও শুনিনি ওই রকম কোন সুরের। তবে ভাওয়াইয়াটা জানি। ওটা আমাদের রক্তের জিনিস।
লাফিয়ে উঠে আমার হাত আঁকড়ে ধরেছিল রূপা, জানো? ওফ বাঁচালে। কাল তো কলেজ সোশাল। ভেবেছিলাম এবার তোমাকে দিয়ে একটা অরিজিন্যাল ফোক আইটেম নামিয়ে সবাইকে চমকে দেব কিন্তু তুমি ঘাবড়ে দিয়েছিলে, বস্।
রূপার ঘাবড়ানি নিমিষে আমার শরীরে ঢুকে পড়ে রীতিমত কাঁপুনি ধরিয়ে দিয়েছিল। নিজেকে সামলাতে আমার হাত আঁকড়ে ধরে থাকা রূপার হাতটার দিকে তাকিয়ে ছিলাম। লক্ষ্য করছিলাম,আংটির ভেতর আটকে থাকা গোলাপি পাথরটার খুশিতে ফেটে পড়া ঝকমকানি।উঠে আসার সময় রূপা বলেছিল,আমার প্রেস্টিজ কিন্তু তোমার হাতে, মনে থাকে যেন!
গত একমাস প্রতিরাতে অনেকক্ষণ বাঁশি বাজিয়েছি। কারুর আপত্তির ধার ধারিনি। হয়ত সারা রাতই বাজাতাম যদি না শেষ রাতে রূপা এসে কপালে চুমো দিয়ে বলত, অনেক হয়েছে, এবার ঘুমোও।
ঘুমিয়ে পড়ার পরও রূপা এসেছে দেখতে সত্যিই ঘুমিয়েছি কিনা। আমি হেসে বলেছি, তুমি নিচ্চিন্ত থাকো। তোমার পেস্টিজ আমার পেস্টিজ।তুমি শুধু দেবব্রতর সঙ্গে মেশাটা ছেড়ে দাও
রূপা জড়িয়ে ধরে বলেছে, দেব গো। ঈস, কেন যে তোমায় এতদিন চিনতে পারিনি!
                               (দুই)
গত একটা মাস প্রতিদিন ব্যাগে ভরে কলেজে বাঁশিটা নিয়ে গিয়েছি। ইচ্ছে ছিল রূপাকে একা শোনানর কিন্তু মহারানির খোঁজই পাইনি। অবশ্য না পেয়ে ভালই হয়েছে। আজ স্টেজ থেকেই শোনাব। সবার মাঝখানে। গর্বে নিশ্চয়ই রূপার বুকটা ফুলে উঠবে। আমি তো ওরই আবিষ্কার।
পাজামা পাঞ্জাবিতে পুরো শিল্পি সেজে কলেজে এসেছি। কোথায় রূপা মিত্র? ফাংশান চত্বরের কোথাও নেই। গ্রিণরুমের কাছেই দাঁড়িয়ে থাকলাম। নাম ধরে ডাকলেই যাতে চট করে স্টেজে উঠতে পারি। তখন রূপা না এসে থাকতে পারবে নাকি!
একের পর এক অনুষ্ঠান হয়ে চলল। কোথায় ফোক আইটেম? এরা জানে তো আমার কথা? নাকি সবাইকে চমকে দেবে বলে অনুষ্ঠানটার কথা কাউকে বলেনি রূপা? রূপা যদি না আসে তাহলে আমার কী হবে!
বেশী খুঁজতে হলোনা। ক্যান্টিনের পাশে দেবব্রতর শরীরে ঠেস দিয়ে বসেছিল মহারানি। দেখেই এমন রাগ উঠে গেল যে জিভটা বিশ্বাসঘাতকতা করে বসল।
--মোক কাথা দিয়া তোমা এইঠে বসি আছেন?
খিলখিল করে হেসে উঠল রূপা, কাথা মানে! এখন কি শীতকাল নাকি যে কাঁথা গায়ে দেব?
রূপার বিদ্রুপটাকে গায়ে না মেখে বললাম, ফির তমা এই লুইচ্চাটার সাথত মিশিচ্চেন? তমাক সাবোধান করি নাই? সোব ভুলি গেইলা!
এবার লাফিয়ে উঠল দেবব্রত, কী ফালতু বকছিস! মেরে নাক ফাটিয়ে দেব কিন্তু। ফোট শালা।
দেবব্রত জানেনা বোয়ালমারির ছেলেরা অত সহজে ডরায় না। জানিয়ে দিতে আমাকেই আগে ঝাঁপিয়ে পড়তে হলো। কিন্তু দেবব্রতর নাগাল পাবার আগেই একটা ঘুঁষি আছড়ে পড়ল আমার বাম ভ্রুতে। একটা লাথি আঘাত করল তলপেটে। নিমিষে আমার চারপাশে অন্ধকার। সেই অন্ধকারের ভেতর কে যেন হাত ধরে টেনে তুলল আমাকে। গম্ভীর স্বরে জিজ্ঞেস করল, কী হচ্ছে এসব!
চোখটা ততক্ষণে ফুলে ওঠায় দেখতে পেলাম না বক্তাকে তবে স্বর শুনে চিনতে অসুবিধে হলোনা, ইউনিয়ন সেক্রেটারি তমাল সোম।
আমি কিছু বলার আগেই রূপা বলে উঠল, দ্যাখো না তমাল, আমরা এখানে বসে গল্প করছি আর কোত্থেকে এই গেঁয়ো ভুতটা এসে দেবুকে যা তা বলতে শুরু করে দিলো! শুধু বলা নয়, মারতেও এসেছিল!
আমাকে ছেড়ে দিয়ে তমালদা একটা হাত রূপার কাঁধে রেখে বলল, ডোন্ট ওরি, তোমরা গল্প করো। আমি দেখছি।
কথাটা শুনেই এমন রাগ হয়ে গেল যে দেবব্রতর বরাদ্দ ঘুঁষিটা তমালকে দিয়ে বললাম, সাউকারি মারিবার জাগা পাস না? তুই কে অক গল্প করিবার পারমিশন দিবার!

                             (তিন)
এখন আর কলেজ যাবার কোন তাড়া নেই। সময় পেলে তো কলেজে যাব? যখন তখন রূপা চলে আসে। আমার হাত পা ধরে কাঁদে। মাফ চায়। আমি হেসে বলি, ধোর পাগলি, মুই কি তোমার উপার রাগ করিবার পারি!
রূপা বলে, তাইলে বাঁশি বাজায়া শুনাও।
আমি বলি, বাঁশি কোটে পামো? তমরা তো ভাঙি দিসেন! বরঙচো দেবুক কও। ও হইল গিয়া শহরের ছাওয়া, অর ইস্টকত ম্যালা গান।
আমার মুখে দেবুর নাম শুনে লজ্জা পায় রূপা। সেই লজ্জা ধার করে আমার ঘরটাও গোলাপি রঙে সেজে ওঠে। আমি খুশিতে হাততালি দেই। সেই শব্দে বাতাসে বেজে ওঠে দোতরা,খোল,ঘুঙুর। দূর থেকে সুর ভেসে আসে, খুব চেনা সুর। সেই সুরে সুর মিলিয়ে আমিও গাই, ফানদে পড়িয়া বগা কানদে রে।





                                           

                                     

                                           
 




No comments:

Post a Comment