ওপার থেকে
হাতের ব্যাগপত্র সামলে রুদ্র কোনোমতে দরজা খুলে ঘরে ঢোকে।
'বাবিন কিন্তু শুধরে গেছে বলো?' আদুরে গলায় রীতাদেবী বললেন। হেলানো চেয়ার থেকে অমীয়বাবু আড় চোখে ঘড়িটা দেখে নিলেন। সাড়ে ন'টা।' তবুও লেট। কি করে জানিনা!'
'তুমি সব জানো! কত ট্রাফিক বলতো?অ্যাক্সিডেন্টের পর গাড়ি নিয়ে যায় কোথাও? বাস কত ঝামেলার তা জানো? তুমি শুধু শুধু ছেলেটার উপর অভিমান করো।'
' অভিমানটাই দেখলে! বাবিন কথা শোনে আমার? কত বার বলেছি... '
' আজ একটা বছর হয়ে গেছে, তুমি এখনও.... '
কথা কাটাকাটি চলতে থাকে কর্তা গিন্নির। রুদ্র হলে আসে। ধূপ জ্বালে।ছোটো বাক্সে রাখা গাড়ির চাবিটা বের করে দেখে, আবার রেখে দেয়। সাদা মালা দুটো সাজিয়ে দেয় দেয়ালের ছবিগুলোতে। হলের ঘড়িটায় ১০টার ঘন্টা বাজে। ঢং ঢং ঢং......
রীতাদেবীর হুঁশ হয়,' কি গো ১০টা বাজলো। চল চল খেয়ে নেবে....'
অমীয়বাবু একটু হাসলেন, 'তোমার আর অভ্যাস হলো না গিন্নি! আমরা আর ওপারের লোক না। আমাদের কিসের খাওয়া!'
No comments:
Post a Comment