Monday, December 31

গল্প : কৃষ্ণেন্দু পালিত





সব পাঁচশ হাজারের নোট
                               

     সবখানে পাঁচশ হাজারের গল্প। কালো টাকা ভার্সেস সাদা টাকা। ট্রেন বাস চায়ের ঠেক টিউশান বাড়ি ফেসবুক হোয়াটসআপ থেকে শুরু করে ব্যাঙ্ক-এটিএম-এর লাইন, সবজি বাজার শেয়ার মার্কেট... টিভি আর কাগজওয়ালারা তো আছেই। সেই সাথে ছড়াচ্ছে গুজব। কোথায় পাঁচশ টাকার নোট পোড়ানো হয়েছে, কোথায় বস্তা বস্তা টাকা পাওয়া গেছে, কোন কোন ডাক্তারের বাড়ি রেড হয়েছে। নোট বাতিলের সিদ্ধান্তে দেশের কতটা অগ্রগতি বা অধগতি হবে সে বিতর্কও চলছে। এই সিদ্ধান্তে সাধারণ মানুষের কতটা দুর্ভোগ হচ্ছে, অর্থনীতি কীভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হছে আপনি যতই বুঝুন, বিরোধী দলগুলো তাদের মতো করে বুঝতে বাধ্য করছে মোড়ে মোড়ে মাইক বেঁধে। যত দিন যাচ্ছে প্রসঙ্গটা বিরক্তিকর হয়ে উঠছে কার্তিকের কাছে। সবচেয়ে অসহ্য লাগছে পরিচিত যখন কেউ ফলাও করে গল্প করছে বাড়িতে মা বউ মিলিয়ে কখানা পাঁচশ হাজারের নোট মিলেছে, কখানার ব্যবস্থা করতে পেরেছে, অবশিষ্টগুলোর জন্যে কি কি পরিকল্পনা করেছে ইত্যাদি ইত্যাদি...।

     কার্তিকের না আছে কালো টাকা না সাদা টাকা। প্রধানমন্ত্রী যখন এই ঘোষণা করেন তখন তাঁর কাছে একটাও পাঁচশ হাজারের নোট ছিল না। এই না থাকাটা প্রথমদিকে তাঁর কাছে সৌভাগ্যের মনে হয়েছিল। যত দিন যাচ্ছে তত তাঁর ধারণা বদলাচ্ছে। মানুষ যেভাবে ফলাও করে তাদের অসুবিধার গল্প শোনাচ্ছে যেন এর থেকে গৌরবের আর কিছু হয় না। পাঁচশ হাজারের মহাযঞ্জে নিজেকে কেমন অপাংতেয় মনে হচ্ছে। যেখানেই এধরনের আলোচনা সেখান থেকেই সে পালাচ্ছে। কিন্তু পালিয়ে কতদূর যাবে! সবখনেই আলোচনার বিষয় এক। বিষয়টা তাকে সমানে তাড়া করে বেড়াচ্ছে। নিজেকে এত তুচ্ছ আর নগণ্য আগে কখনও মনে হয়নি।

     কার্তিকের বয়স এখন পয়তাল্লিশ। বিয়ে থাওয়া করে ওঠা হয়নি। ভবিষ্যতে হবে এমন আশাও দেখেনা। দাদা বউদির সংসার। খরচ দিয়ে খায়। এছাড়াও বিশেষ বিশেষ প্রয়োজনে সামলে দিতে হয়। সেসব টাকা অফেরতযোগ্য। তা নিয়ে অবশ্য তাঁর কোন আক্ষেপ নেই। সকাল বিকাল টিউশান করে যা আয় হয় খরচখরচা বাদ দিয়েও মাসের শেষে কিছু থাকে। সেই আতিরিক্ত টাকা যখন জমতে জমতে পাঁচ হাজার স্পর্শ করে, সোজা চলে যায় পোষ্টাপিসে। ক্যাশ সার্টিফিকেট কিনে রাখে। সার্টিফিকেটের মেয়াদ পূর্ণ হলে প্রাপ্য অর্থে আবার সার্টিফিকেট কেনে। তা বলে এমন নয় যে সে ধনকুবের। বরং কৃচ্ছসাধন করেও এখনও ছয় অঙ্কে পৌঁছাতে পারেনি।

     নগদ টাকা কার্তিকের হাতে কমই থাকে। এই যে কৃচ্ছসাধন, সব ভবিষ্যতের কথা ভেবে। টাকার লোভে ভাইপো ভাইঝিরা যদি বৃদ্ধ বয়সে দেখে। সম্প্রতি চারপাশে যা টাকার গল্প শুনছে, বিশেষ করে পরিচিত বন্ধুবান্ধব এবং আত্মীয়স্বজনের--- মনে হচ্ছে তাঁর এই সঞ্চিত অর্থ আসলে ব্যাঙের আধুলি।

     প্রধানমন্ত্রী যেদিন নোট বাতিলের কথা ঘোষণা করলেন, কার্তিকের খুব আনন্দ হয়েছিল। একদল না খেয়ে মরছে তো একদল টাকার পাহাড় জমাচ্ছে। মালগুলো এবার জব্দ হবে। আর সামান্য হলেও সুবিধা পাবে গরীব মানুষগুলো। আনন্দে বাড়ি ফিরে কাগজ কলম নিয়ে বসেছিল সে। ফটাফট কয়েকখানা ছড়া লিখে ফেলেছিল। পরবর্তী দুদিনে মোট এক ডজন ছড়া লিখেছিল। নিয়মিত না হলেও সাহিত্য চর্চায় তাঁর আগ্রহ আছে। যদিও ছড়াকে সাহিত্য বলা যায় কিনা ইদানীং তাঁর সন্দেহ হয়। বড় বড় পত্রপত্রিকাগুলোর কেউ ছড়া ছাপে না। ছাপে কিছু শিশু কিশোর পত্রিকা। শিশুপাঠ্য ছড়া। যে ভাষায় সুকুমার রায়, অন্নদাশঙ্কর রায়ের মতো ছড়াকার জন্মায় সে ভাষায় ছড়ার এমন করুন আবস্থা কি করে হতে পারে তাঁর মাথায় ঢোকে না।

     কার্তিক ছোটদের জন্যে যেমন লেখে, বড়দের উপযোগী ছড়াও লেখে। সেসব ছড়ার অধিকাংশই খাতা বন্ধি থাকে, ছাপা হয় দু-চারটি। এমন কি যে শহরে সে বাস করে সেখানে সাহিত্য চর্চার একটা ঐতিহ্য আছে। অসংখ্য লিটিল ম্যাগাজিন এবং সংবাদপত্র প্রকাশিত হয়। সাহিত্য পাঠের আসর বসে নিয়মিত। সেসব আসরে সে আমন্ত্রণ পায় কালেভদ্রে। এখানেও তাঁর অবস্থা পাঁচশ হাজারের পাশাপাশি খুচরো পয়সার মতো।

     এত অল্প সময়ে এত সংখ্যক ছড়া লেখা যে কোন লেখকের কাছেই আনন্দের। কার্তিকেরও আনন্দ হয়েছিল। তবে তা সাময়িক। সে আনন্দ ফিকে হতে কয়েকদিন মাত্র সময় লেগেছিল। কয়েকদিনের মধ্যেই আবিষ্কার করেছিল তাঁর পরিচিত মহলে পাঁচশ হাজারের প্রসঙ্গে সে সংখ্যা লঘু কেবল নয়, একমাত্র মানুষ। ব্যাঙ্কের সামনের দরজা দিয়ে যত টাকা সাদা হচ্ছে, পেছন দরজা দিয়ে হচ্ছে হাজার গুন। নামে বেনামে, আত্মীয়স্বজন বন্ধুবান্ধব পরিচিতদের অ্যাকাউন্টে ঢুকছে তারও বেশি। পাশাপাশি সোনা বা অন্যান্য সম্পত্তি কেনার বিষয়টি তো রয়েছেই।  মোদিজির উদ্যোগ পুরোপুরি মাঠে মারা গেছে। কালো টাকার কারবারিরা যেমন ছিল তেমনই আছে, খেটে খাওয়া মানুষগুলোর অবস্থা আরও শোচনীয় হচ্ছে। প্রায় কাজ নেই বললেই চলে তাদের।

     প্রধানমন্ত্রীর ব্যর্থতা তাই কার্তিকেরও ব্যর্থতা। বন্ধুদের আলোচনায় অংশগ্রহণ করতে পারছে না। যেখানেই এধরনের আলোচনা হচ্ছে, সেখান থেকেই পালিয়ে যাচ্ছে। অদ্ভুত এক হীনমন্যতা তাকে তাড়া করে বেড়াচ্ছে।


     অনেকদিন বাদে আজ একটা সাহিত্য সভায় ডাক পেয়েছিল। মোট আটজন লেখক উপস্থিত ছিলেন। তাদের মধ্যে দুজন গল্পকার, পাঁচজন কবি এবং একমাত্র ছড়াকার সে। সম্প্রতি “পাঁচশো হাজারের নোট” শীর্ষক ১২টা ছড়ার যে সিরিজ লিখেছে সেটাই পাঠ করেছিল। সমস্যা তৈরি হল সমালোচনার সময়। সভার নিয়ম অনুযায়ী প্রত্যেকের স্বরচিত রচনা পাঠের শেষে লেখাটি বা লেখাগুলি নিয়ে আলোচনা হবে। আলোচনায় অংশগ্রহণ করতে পারবে উপস্থিত যে কেউ। করলও তাই। কেবল তাঁর ছড়ার আলোচনা করতে গিয়ে সকলেই ব্যক্তিগত প্রসঙ্গ টেনে আনল। রাজনীতি, সমাজনীতি, অর্থনীতি নিয়ে আলোচনা করল। সীদ্ধান্তের বিরোধিতা করল। কেবল ছড়াগুলোই থাকলো উহ্য।

     জরুরী কাজের অজুহাত দেখিয়ে উঠে আসল কার্তিক। বিষয় ভাবনার ক্ষেত্রে প্রায় সকলেই যে মূল বিষয়ের বিপরীত মেরুতে আবস্থান করছে বুঝতে অসুবিধা হয়নি তার। সাহিত্য আর ব্যক্তি বিশ্বাসে আসমান জমিন ফারাক। মন খারাপ নিয়ে পাড়ার ক্লাবে এসে ঢুকল সে। বন্ধুরা তখন ক্যারাম খেলছিল। সেই সাথে চরম বিতর্ক। একসময় পরিস্থিতি এমন দাঁড়াল যে হাতাহাতি হওয়ার উপক্রম। কার্তিক বিরক্ত হয়ে বলল, এছাড়া তোদের আর কোন প্রসঙ্গ নেই! শালা সবখানে এক গল্প।

     -তুই থাম। সাদা ধন কালো ধনের তুই কী বুঝবি? তোর তো কিছুই নেই।
     -থাকলে এতদিন বিয়ে করত। পাশ থেকে আর একজন বলল।
     হো হো করে হেসে উঠল বাকিরা। মুহূর্তে বিতর্ক আড্ডায় রুপ নিল। একজোট হয়ে গেল সবাই। সব ছেড়ে কার্তিককে ধরল। বিয়ে না করার মতো হাস্যকর যেন আর কিছু হয় না। কোথায় কালো টাকা আর কোথায় বউ! রাবিস!

     ক্লাবঘর থেকে বেরিয়ে আসে কার্তিক। কানমাথা ঝাঁ ঝাঁ করছে। সেই সাথে বেশি করে বাজছে দারিদ্র্যের অপমান। কে যে বন্ধু আর কে শত্রু সব ঘুলিয়ে যাচ্ছে। ক্ষোভে অপমানে একদলা থুতু ফেলে রাস্তায়। এ অবস্থায় বাড়ি ফিরলে সারারাত ঘুম হবে না। আরও কিছুক্ষণ এলোমেলো রাস্তায় ঘোরার সিদ্ধান্ত নেয়।

     রাত দশটার ফাঁকা রাস্তা। এবছর নভেম্বরের শেষ সপ্তাহেই শীতটা জাঁকিয়ে পড়েছে। সেইসাথে কুয়াশা। আজ মাফলারটা নিয়ে বেরতে ভুলে গেছে। মাথা টিপটিপ করছে। এই রাতেও এটিএমের সামনে লম্বা লাইন। উল্টো দিকের চায়ের দোকানটা বোধহয় সেজন্যেই খোলা। বেশ কয়েকজন খদ্দের সেখনে। এক কাপ চা খেলে মাথাটা ছাড়তে পারে ভেবে চায়ের দোকানে ঢোকে। চায়ের অর্ডার দিয়ে লাল সুতোর বিড়ি ধরায়।

     -দাদা কতজনের পরে? খদ্দেরদের একজন জিঙ্গাসা করে।
     কার্তিক বুঝতে পারে না, মানে?
     -কতজনের পরে লাইন? আমি এখনও... লোকটা এটিএমের লাইনের দিকে তাকিয়ে বিড়বিড় করে গোনে, তা জনা পচিশেক তো হবেই। এক ঘণ্টার বেশি হল এসেছি, ব্যথায় পা টনটন করছে।
     -এতক্ষণ তো লাগার কথা নয়!
     লোকটা রহস্যময় হাসে, বুঝলেন না! তিনটে এটিএম কার্ড এনেছি। একবারে একটার বেশি তো তুলতে দিচ্ছে না। দুবার তোলা হয়ে গেছে। দাদার কটা?
     -আমি এটিএমে আসিনি, চা খেতেই এসেছি।
     পাশে বসা অন্য লোকটি এবার মুখ খোলে, সে তো বটেই, ঘরে স্টক থাকলে খামোকা লাইনে দাঁড়াবেন কেন! সমস্যা আমাদের মতো সাধারণ মানুষের। যাদের কালো টাকা আছে, এ শহরের রহিস আদমি, তাদের একজনকেও দেখেছেন ব্যাঙ্ক কিংবা এটিএমের লাইনে। সব ব্যাঙ্কের পেছন দরজা দিয়ে ব্যবস্থা করে ফেলেছে।
     -আপনার কত ছিল?
     -কত আর, সামান্য। আমাদের মতো ছোট ব্যবসায়ীর কাছে নগদ বেশি তো থাকে না। সব মিলিয়ে লাখ ছয়েক মতো হবে। প্রথম দুদিনেই ব্যবস্থা করে ফেলেছি।
     -বলেন কী! প্রথমজন শিউরে উঠল যেন, আমি তো মাত্র বাহান্ন হাজার নিয়েই হিমশিম খেয়ে গেছি। শেষ পর্যন্ত যা হোক একটা ব্যবস্থা করতে পেরেছি।... আপনার কত ছিল? শেষ প্রশ্নটা এবার কার্তিককে উদ্দেশ্য করে।
     সবে দু চুমুক খেয়েছিল, লোকটার প্রশ্নে থমকালো। পাশের ঝোলা ব্যাগটা কোলের উপর টেনে নিয়ে বলল, সঙ্গেই আছে।
     বাকি চাটুকু এক চুমুকে শেষ করে, পয়সা মিটিয়ে বেরিয়ে এল। আচমকা এমন আচরণে লোক দুটো ঘাবড়ে যায়। তখনই কিছু বলতে পারে না। আবাক হয়ে কার্তিকের চলে যাওয়া দেখে।

     জিভটা জ্বালা করছে। সেই সাথে একটা তেঁতো তেঁতো অনুভূতি। পুড়ে গেছে হয়তো। কার্তিক সোজা বাড়ি চলে আসে। টেবিলে খাবার ঢাকা দেওয়া আছে। অন্যরা নটা সাড়ে নটার মধ্যে খেয়েদেয়ে শুয়ে পরে। কার্তিকের খাবার ঢেকে রাখে তাঁর ঘরে পড়ার টেবিলে। কার্তিকের ফিরতে এগারোটা হয়ে যায়। টিউশানি থাকে। আজ সাহিত্য সভার জন্য সন্ধ্যার পরের টিউশানিগুলো কামাই করেছে।

     ঢাকা তুলে দেখল চারটে রুটি, আলু চচ্চড়ি আর একটা পাকা কলা। এক নজর দেখেই ঢেকে রাখল। খাওয়ার ইচ্ছাটাই চলে গেছে। ব্যাগ থেকে ছড়ার গোছাটা বের করল। এগুলো সব ফ্রেস কপি। সাহিত্য সভায় যাওয়ার জন্যে পরিষ্কার করে লেখা। প্রতিটি ছড়া আলাদা আলাদা এ/ফোর কাগজে। রাফ আছে খাতায়। লেখার জন্যে সে এখনও রুল টানা খাতা ব্যবহার করে। খাতাটাও টেনে বের করল। পৃষ্টাগুলো ছিঁড়ল। “সব পাঁচশ হাজারের নোট” ছড়াগুচ্ছ যেখানে লিখেছিল।

     কাগজগুলো হাতে নিয়ে উঠোনে বেরিয়ে এল সে। এগুলো এখন অপ্রয়োজনীয় মনে হচ্ছে। মনে হচ্ছে তার দিকে তাকিয়ে ভেংচি কাটছে। ভার বইতে ভালো লাগছে না আর। পকেট থেকে লাইটার বের করে একটা একটা করে আগুন ধরাতে লাগল। গোটা পাঁচ-ছয় পৃষ্টা যখন পোড়ানো হয়েছে, পাশের বাড়ির জানালা খুলে সোনার দোকান মানসদা উপহাস করে বলল, এখনই পুড়িয়ে ঠিক করছ না। পুরো ডিসেম্বর মাসটাই সুযোগ আছে, ব্যবস্থা একটা ঠিক হয়ে যেত। তাছাড়া আমি তো ছিলামই...।

     মানসদা কখন জানালা খুলেছে, কতক্ষণ তাকে লক্ষ করছে, কার্তিক জানে না। হয়তো আশেপাশের আরও অনেক বাড়ি থেকে গোপনে তাকে ফলো করছে। যে যার নিজের নিজের মতো করে ভেবে নিচ্ছে। কাল সকাল হওয়ার আগেই সারা দুনিয়া রাষ্ট্র হয়ে যাবে। গুজব ছড়াবে হাওয়ার আগে। তাকেও নানান জিঙ্গাসার সম্মুখীন হতে হবে। তেমন হলে কী উত্তর দেবে সে ঠিক করে ফেলে।

     কার্তিকের দিক থেকে কোন উত্তর না পেয়ে মানসদা এবার চিৎকার করে ডাকল, কার্তিক?
     এর পরেও ডাক না শোনাটা অভদ্রতা। অনিচ্ছা সত্ত্বেও উত্তর দিল, বলুন।
     -রাত দুপুরে এসব কী করছ?
     -পোড়াচ্ছি।
     -কেন?
     -না পুড়িয়ে উপায় নেই তাই।
     কাগজগুলো এখন দাউ দাউ করে পুড়ছে। কার্তিক খেয়াল করল, তার অনুমানই ঠিক। কোন বাড়ির ছাদে, কোন বাড়ির জানালায় নতুন নতুন আরও অনেক মুখ। হয়তো ঈর্ষায় পুড়ছে। পুড়তে লাগুক। জিভের জ্বালাটা এখন একটু কম বোধ হচ্ছে। মানসদা আর কোন প্রশ্ন করার আগেই তার কৌতূহল মেটাতে বলল, সব পাঁচশ হাজারের নোট।

No comments:

Post a Comment