Monday, December 31

গল্প : দিব্যেন্দু সরকার





কিক


গলির রাস্তাতে স্কুটারটায় চেপে বসে লোকটা। বয়েস কত হবে আর। মাথা ভর্তি পুরুষ্টু চুল। মোটা চুলে পাক ধরে চিকচিক করে।   প্রৌঢ় বলা ঠিক চলে না।   পাকানো ফর্সা শরীর।  হাইটের সাথে স্কুটারটা বেমানান।  জীর্ণ দশা সেটার। স্টার্ট দিলে বিচ্ছিরি রকম ভটভট আওয়াজ করে। এক কিকে এখন কোন মতেই স্টার্ট হবে বিশ্বাস করা মুশকিল।


ভদ্রলোকের নাম না জানলেও চলবে।  তবু বলি  ইনার নাম সুবীর দত্ত। এলাকার সবাই তাকে চেনে সদা সহাস্যমুখের  মানুষ হিসেবে। এককালে রাজনীতি করা মানুষ। সবার বিপদে ঝাঁপানোর অতীতটা নিয়ে এখন আর কোন আলোচনা হয় না মহল্লায়।  রাজনীতি মানে বড় মাপের নেতা নন। এই উদ্বাস্তু পাড়ায় নিম্ন-মধ্যবিত্ত মানুষের জন্য ঝাঁপিয়েছেন।  বিপদেআপদে  সবার পাশে থাকতেন তিনি।

  সে দিন ফুরিয়েছে। এখন তিনি মহানগরীর ঝাঁ চকচকে গ্লামারের মধ্যে লাখো নিন্ম মধ্যবিত্ত মানুষের মধ্যে একজন। এটাই তার বর্তমান পরিচয়। পথ চলতি প্রতিবেশীদের সাথে দেখা হয় -- মুখ চাওয়াচাওয়ির মুচকি হাসি আর তারপর মুখ ঘোরানো। এইটুকুই সৌজন্য বিনিময়।  কথা হয় না।


 " এই নাও " - হেলমেটটা এগিয়ে দেয় সুবীর বাবুর স্ত্রী শ্রাবণী।  একটা পুরোনো পেটিকোট দিয়ে যত্ন করে শ্রাবণী  মুছে দেয় সেটা। স্কুটারটা অনেকদিন  পরই ঘর থেকে বের হলো। নীল রঙের স্কুটারটা এখন বর্ষার আকাশের মতো কালো কালো ছোপছাপ। ডান দিকের লুকিং গ্লাসটা নেই।  স্কুটারের বয়েস সুবীরদের বিয়ের বয়েসের থেকে পাক্কা এক বছর কম। প্রথম বিবাহ বার্ষিকীতে সুবীরের ইচ্ছে ছিল শ্রাবণীর জন্য কিছু সোনার গয়না বানাবে। বিয়ের সময় শ্রাবণীর গলায় একটা দশ আনার চেন ছাড়া কিছু ছিল না। প্রায় এক কাপড়েই চলে এসেছিলো শ্রাবণী।

 সুবীরের মা বলতো --

বৌমার হাত,  গলা কেমন ফাঁকাফাঁকা   লাগে,  নতুন বৌ তো। তোর বাবা কিছু  টাকা দিতে চেয়েছে।

বিয়ের পর শ্রাবণীর বাবাও এটা ওটা দিতে চেয়েছিলো, সুবীর রাজি হয় নি। স্বামী, শ্বশুরের প্লান শ্রাবণীর কানে যায়। একদিন রাতে সবাই একসাথে  টিভি দেখতে দেখতে শ্রাবণী  শ্বশুরকে বলে --- " বাবা,  আজকাল কেউ গয়না পড়ে না।আর বাসে অফিসটাইমে যা ভীড়!  আমার  কাছে কিছু জমানো টাকা আছে।  বাবা, বলছিলাম কি সব জুড়ে যদি একটা স্কুটার কেনা যায়,  সেটা তো সবারই হবে।  সুবীরের বাবাও বোঝে, এই মেয়েটা সবার কতো খেয়াল রাখে। স্কুটারের টাকাটা যে শ্রাবণী ওর বাবার  কাছ থেকে নিয়েছ, সেটা সুবীর বুঝে গিয়ে মুচকি হাসে। এ যাত্রায় আর আপত্তি করে না।


সুবীরবাবু চটকলটা বাড়ী থেকে দশ কিমি দূরে। সুবীর বাসেই যায়। তেল খরচ দিয়ে স্কুটারে মিলে যাওয়া পোষাবে না। সে মিলের মোটর স্টার্টার। কিক করে মোটর স্টার্ট করে। ছোট চটকল। মাইনেও কম। দশ হাজার টাকা এখন।  বাবা রিটায়ার্ড  টিচার।  পেনশন পান। দুটো মিলে চলে যায় সংসার। মা গত হয়েছে তাও প্রায় দশ বছর হলো। মেয়ে ঝিমলি এলো আর মা টা চলে গেল।


  অফিস স্কুটারে করে না গেলেও,  মাসে এক আধ বার বৌ - বেটিকে নিয়ে বের হয়। কোন কাজে নয়,  একটু এদিকওদিক চরকি ঘুরে আসে। মেয়ে আর শ্রাবণী ফুচকা খায়,  টুকটাক মেয়েলি কেনাকাটা করে।  ফুটের দোকানে। ব্যাস।


  কাল স্কুটারটা নিয়ে কলে যাবার কথা শুনে শ্রাবণী  হেসে বলে --- " কি ব্যাপার মশাই,  প্রমোশন টোমোশন হল নাকি। গত দুদিন কলে যাও নি। তোমাকে একটু মনমরা লাগছিল। যাক বাবা,  আজ একেবারে ঝাক্কাস --   স্কুটার চেপে কলে যাচ্ছো----- "।  সুবীর বলেছিলো -- "কলে কাজের চাপ বেড়েছে। ফিরতে এখন থেকে একটু দেরি হবে -- তোমরা চিন্তা করো না।"

" ওহ,  বাবার প্রেশক্রিপশনটা আনতে ভুলে গেছি। উনার ঔষুধ ফুরিয়েছে।  আর ঝিমলির জন্য অংক খাতা  এনো - খাতার পাতা শেষ --- " - শ্রাবণী ঘরে ঢোকে শ্বশুরের প্রেশক্রিপশন আনতে।

 ঘর বলতে দুকাঠা জায়গায় একটা ইটের দেওয়ালের বাড়ী।  ছাদ আছে। দুটো ঘর। বাইরের রঙ আর কিছুই নেই। পলেস্তারা ক্ষয়ে  তারও অবস্থা করুণ।  বাড়ী আর স্কুটার দুটোই মানানসই।  শুধু এদের সাথে বেমানান এই লম্বা ছিপছিপে মানুষটা।


 মেয়ে ঝিমলি ছুটে এসে বাবার গালে চুমু খায়।  ওর বয়েস এখন দশ বছর। সরকারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ক্লাস ফাইভে পরে। বাবার মতই লম্বায় বেড়ে উঠেছে মেয়েটা। বাংলা মিডিয়ামে স্কুলটায় পড়াশোনা ভাল হয়।  মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক দুটো পরিক্ষায়ই বেশ ভাল ফল হয়। ঝিমলি ক্লাসে ফার্স্ট হয়। বায়ানাক্কা কিচ্ছু নেই তার। হয়তো বাবার বোবা ভাষা মুখ দেখেই পড়ে ফেলে।  মেয়েদের এই একটা গুণ।  ওরা অল্প বয়েস থেকেই অনুভূতি গুলো ছুঁয়ে ফেলে।

  শ্রাবণী প্রেশক্রিপশন নিয়ে আসে।


   শ্রাবণীও গ্রাজুয়েট।ভালবেসে বিয়ে। ভাল মেয়েও বটে।  নইলে সংসারে এই শান্তিটা থাকতো না সেটা সুবীর বিলক্ষণ বোঝে।  শ্রাবণীই মেয়েকে দেখে। সুবীর অঙ্ক,  বিজ্ঞানটা দেখে। অনিয়মিত।  তাই সায়ান্স গ্রুপের জন্য ব্যাচে টিউশন দেওয়া হয়েছে। না, কোন স্কুল টিচারের কাছে টিউশন দেয় নি সুবীর।  সুমন্ত মুখার্জী -- ছেলেটা ম্যাথে পোস্ট গ্রাজুয়েট।  বি এড করা।  তাও চার বছর হলো।  সুবীরদের জুট মিলের অরুণদার ছেলে। ভীষণ ভালো মানুষ ছিলেন অরুনদা। উনাকে অসুস্থতার কারন দেখিয়ে মিল কর্তৃপক্ষ অবসরের পাঁচ বছর আগেই ছাটাই করেছে।


  " আজ সায়নীর বার্থডে বাবা "। সায়নী ওদের ক্লাসে পড়ে। গলির মুখটায় দোতলা বড় বাড়ীটা সায়নীদের। এই গলিটা খুব লম্বা নয়। বড় জোর দুশ মিটার হবে। সুবীরদের বাড়ী মোটামুটি গলির মুখের দিকেই। সায়নীদের বাড়ীর ঠিক চারটে বাড়ীর পরেই। সুবীরদের বাড়ীর পেছনে গলির দুধারে অন্তত পঞ্চাশটা বাড়ী। এই গলিটাই ছিল না একসময়।  সুবীরদের বাড়ী সহ আর তিনটে বাড়ীর প্রত্যেকের বাড়ীর সামনেই জায়গা ছাড়া ছিল। পরে পেছনে বস্তি বসে। কিন্তু যাবার রাস্তা ছিল না। অরুণ মল্লিকের কয়েক বিঘে জমি ছিল সুবীরদের বাড়ীর পেছনে। ধনী ব্যবসায়ী।  থাকেন দক্ষিণ কলকাতার অভিজাত পাড়ায়। সুবীর নতুন বস্তির সবাইকে নিয়ে লড়ে অরুণ মল্লিককে রাস্তার জন্য জমি দিতে বাধ্য করেছেন। সে এক লম্বা লড়াই।  গুন্ডা লাগিয়ে সুবীরকে প্রায় মেরেই ফেলেছিলো লোকটা। অল্পের জন্য প্রাণে বেচে গেছিল সুবীর। তলপেট চার ইঞ্চি কাটা দাগটা তামাটে হয়ে রয়ে গেছে। টানা পনের দিন হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে সে জয়ী হয়েছে।


   এসব হুট হাঙ্গামায় যখন সে জড়িয়ে পড়ে,  তখন সে ইউনিভার্সিটির ছাত্র। পার্ট ওয়ান দিয়েছে।  ইউনিভার্সিটির ছাত্র রাজনীতি সে করে নি। নামমাত্র নাম লিখিয়েছিল ইউনিয়নে । কিন্তু কেমন করে যে এই উদ্বাস্তু মানুষ গুলোর সাথে জড়িয়ে পড়লো সে নিজেই জানে না। পুলিশের খাতায় নাম উঠলো,  অরুণ মল্লিকের লোকজনকে পেটানোর দায়ে। পড়াশোনা তার ওখানেই খতম। পার্ট ওয়ানের রেজাল্ট বেরোল। ফিজিক্সে ফার্স্টক্লাস নম্বর ছিল। কিন্ত সে আর ইউনিভার্সিটি  মুখো হয় নি।


 ইউনিয়নের সেক্রেটারি তন্ময় কয়েকবার এসেছিলো ওকে বোঝাতে -- " তোর মতো বক্তিমা করার মতো লিডার কম।  জানিস, এবার অপোনেন্ট পার্টির ছাত্ররা বেগ দেবে। তোর মতো তুখোড় বক্তা পেলে সুবিধে হবে "।

   কলকাতার বড় বড় কলেজ ইউনিভার্সিটির স্টুডেন্টস মুভমেন্ট সম্পর্কে কিছুটা অনীহা ছিল সুবীরের। ওখানে বেশিরভাগ ধনী ঘরের ছেলেদের দাপাদাপি।  ওরা ওই কয়েকটা বছর বিপ্লবের বাণী আওড়ায়। তারপর ক্যারিয়ার তৈরি হলে বুর্জোয়া শ্রেণিতে নাম লেখায়। ওগুলো যেন হিরো গিরি হুজ্জোতি।


  হুজ্জোতিতে সুবীরও মাতলো। তবে কেরিয়ার ডুম করে। নেতা হতে গেলে সবাই যেমন উঁচুতে উঠতে চায়। সেটাই স্থির লক্ষ্য।  আর সব সেকেন্ডারি।  সেখানে সুবীর রয়ে গেল এই বস্তী বাসী মানুষগুলোর জন্য। ছোট পরিধিতে ছোট ছোট কাজ করার মানুষের চিরকালের অভাব। সবারই বড় বড় ভাবনা আর তার চেয়ে বড় ভাবনার এলাকা। সব্বাই যেন এক্কেবারে দেশ উদ্বার করতে চায়, কেউ আবার একাই পৃথিবীকে বদলে দিতে চায়। তাই বদলায় না কিছুই না ড্রেন, না দেশ, না গলি না দুনিয়া।  আর সুবীর কিনা শেষমেশ এমন বস্তি নিয়েই বস্তাবন্দী করে ফেললো এম্বিশন গুলো।


 সুবীর ঝাঁকড়া চুলের মাথায় হেলমেট গলাতে যায়,  গলিতে তখন ঢুকে পড়ে কিং সাইজের একটা অ্যাশ কালারের ফোর হুইলার। ওটা চেনা গাড়ী।  সুবীরদের বাড়ীর থেকে গুণে গুণে এগারো বাড়ী পেছিয়ে সুবীরদের অপজিট সাইডে বিনয়দের বাড়ী। বিনয় সাহা। ওরা উদ্বাস্তু হয়ে এসেছিলো। বিনয় সুবীরের থেকে বেশ খানিকটা ছোট।

 একদিন বিনয় ওর বাবাকে নিয়ে এসেছিলো সুবিরের কাছে -- " দাদা, খুব কষ্টে আছি,  মহিমদের বাড়ীতে ভাড়া আছি। এতোগুলো মানুষ "।  তখন এ তল্লাট পঞ্চায়েত ছিল,  মহানগরীর ওয়ার্ড হয়ে ওঠে নি। সুবীর পঞ্চায়েতের লোকজনকে ধরপাকড় করে ওদের জন্য একটা জমির ব্যবস্থা করেছিলো ওই বস্তিতেই।  সেই বিনয় এখন জমি কেনাবেচা করে। প্রমোটার ছোটখাটো।


  কাচ ঢাকা গাড়ীটাকে সাইড দিতে সুবীর বাইকটা সরায়। না,  গলির রাস্তাটা মোটেও সরু নয়। বেশ চওড়া। আশেপাশের অন্য গলিগুলোর থেকে যথেষ্টই। এই রাস্তাটা চওড়া করবার জন্য সুবীরকে কম ঘাম ঝড়াতে হয় নি। এ রাস্তা এখন ঝকঝকে। রাস্তার দুপাশে ল্যাম্পপোস্টে নিয়ন বাতি, ঢালাই রাস্তার নীচে গভীর ড্রেন। চওড়া রাস্তার দৌলতে জায়গাজমির দাম বেড়ে যায়। জমি কারবারি ডেকে এনে জমির দালালিতে হাত পাকায় অরুণ।  যে বস্তির জন্য সুবীর যৌবনের অমূল্য, অফেরৎ যোগ্য সময়টা খুইয়ে এসেছে তাদের অনেককেই উচ্ছেদ হতে দেখেছেন এই অরুণ এন্ড প্রোমোটার কোং এর হাতে। সেসব দেখে যাওয়া ছাড়া আর কিছু করার নেই সুবীরের।


 নেই কেন,  সেটা কিছুটা টের পাওয়া যাবে সুবীরদের এই গলিটার দিকে এক নজর তাকালে। সারি সারি দোতলা,  তিনতলা বাড়ীর মাঝে বিবর্ণ একটা একতালা বাড়ী!!  একেই বোধ হয় বলে অড। আর তাই অড ম্যান আউট। সেসব কেউ কি আর মনে রেখেছে!!   কে রেখেছে না রাখেছে তাই নিয়ে সুবীরের মনে কোন আক্ষেপ, অনুশোচনা নেই। এক্কেবারেই নেই। তবে বিবর্ণ মানবিকতা তাকে কি কিছুটা বেদনাহত করে না?  নিশ্চয় করে। তবু অমলিন হাসিটা ঝুলিয়ে রাখে।


  এই গলিতেও পথ চলতি মানুষ নেহাত কম নয়। অনেককেই চিনে উঠতে পারে না। আবার আগের চেনা মানুষ গুলোও সটান চলে যায়।  সাইকেল  থামিয়ে বরুণ বলে --- " কি রে সুজয়,  এই সময় স্কুটার,  আজ কি অন্য কোথাও যাবি?  "।  যদি প্রাণের দুটো কথা বলার মতো বন্ধু এপাড়ায় থাকে তো ওই বরুণ।  হবে না কেন?  একই জলকাদার ছিটে লেগে আছে দুজনের গায়। বরুণও ভাল ফুটবলার।  স্কুলের মাঠ থেকে কতদিন কাদা গায়ে মেখে ভুত সেজে দুজনে গলা ধরে বাড়ী ফিরেছে। এই ফুটবলের নেশটা বোধহয়  এখনও ছাড়তে পারে নি সুবীর। লেফট উইং এ খেলতো। গতি ছিল অসম্ভব।  সবাই ওকে জামসেদ নাসিরি বলতো। ঝাঁকড়া চুলের মিলটাও ছিল নাসিরির সাথে। সুবীরের ফ্রি কিক গুলো ছিল অব্যর্থ।  বরুণের পড়াশোনা বেশি এগোয় নি। ওই মোড়ের মুখে রাস্তার ওপাশে মুদির দোকান ওর। যাবার সময় বাস ধরার আগে একটা সিগেরেট ফুঁকে নেয়  আর মিল থেকে ফেরার পথে বাস থেকে নেমে আর একটা।  দুজন মিলে চাও খায়। গল্প চলে রাজ্য - রাজনীতি এসব নিয়ে।

" না রে, তোর সাথে পরে কথা হবে -- আজ দোকানে লেট কেন রে --- এগো তুই,  আমি যাচ্ছি -- "


    হেলমেটটা মাথায় গলিয়ে নেয় সুবীর। স্ত্রী শ্রাবণীর দিকে তাকিয়ে মিষ্টি করে হাসে,  মেয়ের দুগাল হাতের মধ্যে নিয়ে শক্তি পুরে নেয় - অড বাড়ীটার দিকে স্নেহভরে একবার তাকিয়ে ঘড়ি দেখে অডম্যান --

এগারোটা পাঁচের লোকাল ট্রেনটা মিস করলে চলবে না, ওটাতেই হকারীর জন্য কিছু খেলনা আসবে।  জুট মিল যে  তিনদিন  আগে  লক আউট


ক্লাচ টিপে স্কুটারটায় কিক মারে সুবীর।

2 comments:

  1. অসাধারণ বললেও কম বলা হয় আপনার বিষয় ভাবনাকে যা মানুষের মনের নানা অলি গলি ঘুরে তারপর আসে তার প্রার্থিত গন্তব্যে যা কিনা অনেকটাই epiphanical....

    ReplyDelete
  2. Osadharon boro Sir...ki osadharon likhechen

    ReplyDelete