Thursday, May 2

উত্তরবঙ্গের জনজাতি : অভিজিৎ দাশের গল্প



তবুও


কোচবিহার রাজবাড়ি পার্কে বসে আছে মালতি। মালতি তজু। তাঁর ফর্সা মুখমণ্ডলে দুশ্চিন্তার অভিব্যক্তি ফুটে উঠেছে। আলো আর অন্ধকারের খেলা চলেছে বড়ো বড়ো টানা চোখ দুটিতে। বারা বারে ঘড়ি দেখছে।  মন বলছে, “শ্যাম আসবে, শ্যাম আসবে।” স্বীকৃতি দিয়ে সত্যিই শ্যাম এলো। আর মালতির মুখ হাসিতে উপচে উঠল।

— এতো দেরি করলে কেন ?

— সরি, আজকেও হেড মাস্টারমশাই একটি কাজ দিলেন, না করতে পারলাম না।

আর আমার কথা ভুলে গেলে ? আমি সেই এক ঘন্টা ধরে তোমার জন্য বসে আছি। আম্র কথা ভাব্লে না ?

আরে বাবা, ভেবেছি বলেই তো ছুটতে ছুটতে চলে এলাম। কেউ কি আর তাঁর ‘জান’কে ভুলতে পারে ?

‘আর বলতে হবে না। বসো।’ অভিমানে মালতির ঠোঁট দুটো ফুলে ওঠে।
বাড়িতে বলে এসেছ টো ?

হ্যাঁ বাড়িতে বলি আমি করতে যাচ্ছি। বাবা এই বিয়ে মেনে নেবে ভেবেছ ? আচ্ছা, তোমাদের বাড়িতে আমাকে মেনে নেবে তো ?

নেবে , নিশ্চই নেবে। আমরা দুজনেই তো প্রাপ্ত বয়স্ক। আর তোমার বাবা তো ছিলেন দেশের সৈনিক। দেশের নানা জায়গায় ঘুরেছেন। নানা রকম মানুষের সঙ্গে ঘুরেছেন। নানা রকম মানুষের সাথে মিশেছেন। নিশ্চয়ই তিনি আমাদের আটকাবেন না।

মনে তো হয়। দেখা যাক। চলো।

রাজবাড়ি পার্ক থেকে তারা সরাসরি মদনমোহন বাড়িতে চলে আসে। ফোন করে মালতি তাঁর প্রিয় বান্ধবিকে ডেকে নেয়। তাঁকে আগেই বলে ছিল। শ্যাম তাঁর বন্ধুদের ডেকে নেয়। মদনমোহনদেবকে সাক্ষি রেখে শ্যাম ও মালতির বিয়ে করে।

শ্যাম রায় একটি উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষক হিসেবে সম্প্রতি কাজ শুরু করেছে। আর মালতি বি. এ পাশ করেছে। এই সে দিন মালতি ছিল কলেজ ছাত্রী। আর শ্যাম ঐ কলেজে আংশিক সময়ের অধ্যাপক হিসেবে পড়ানো শুরু করেছিল। প্রথম দর্শনেই টুক্টকে ফর্সা মালতির মুখটি শ্যামের মন কেড়ে নিয়েছিল। আর সেও দেখছে তাঁর ক্লাসে একেবারে প্রথম বেঞ্চে প্রতিদিন মালতির নিষ্পলক উপস্থিতি। শ্যামের এক বন্ধুর মাধ্যমে তারা একে অপরের কাছে মন উজার করে দেয়। দিন যত এগিয়ে চলে তাঁদের ঘনিষ্ঠতা তত বাড়ে।

মালতি বলেছিল, “ আমি বি. এ পাশ না করলে কিন্তু বিয়ে করব না।” শ্যাম বলেছিল, “ আমি চাকরিটা পাই আগে । তারপর তোমার দায়িত্ব নেব। মালতি অবশ্য জানে তাঁদের সমাজে মেয়েরাই বরের দায়িত্ব নেয়। বরেরা স্ত্রীর মায়ের বাড়িতে থাকে। কিন্তু শ্যাম তা মানতে চায়নি। তাই আলাদা ঘর বাঁধার স্বপ্ন দুজনের মনে।

মালতি চলে আসে শ্যামদের বাড়ি। দেবেন বুড়ো খবর পেয়ে ছুটে এসেছেন। মালতির বন্ধুরাই খবর পৌঁছে দিয়েছে। তিনি নোক্‌রমকে দেখে খুব খুশি। মন কিছুটা খারাপ হয়েছে নিজেদের সমাজের কথা ভেবে। আবার ওদের মেনে নিতে দ্বিধা করেননি। মালতি তাঁর নোকনা। দেবেন বুড়োর একটি ছেলে। মেয়ের মা হতে খুব ইচ্ছা ছিল পূর্ণিমার। তাঁর দুজনে এই ভাবনাকে রূপ দেয়ার জন্য চেষ্টার ত্রুটি করেননি। কিন্তু লাভ কিছু হয়নি। তাহলে পূর্ণিমা কাকে দিয়ে যাবেন সম্পত্তি। তাঁদের সমাজে মেয়েরাই সম্পত্তির অধিকারী হয়। তাই পূর্ণিমার মৃত্যুর পর দেবেন বুড়ো পূর্ণিমার ছোট বোনের মেয়ে মালতিকে দত্তক নেয়। সে হয় তার নোক্‌না। ফলে সম্পত্তির উত্তরাধিকারের প্রশ্ন আর থাকে না। মালতি ছোট থেকেই দেবেন বুড়োর স্নেহ নেওটা। উচ্চ মাধ্যমিকের ছাত্রী মালতির দেবেন বুড়োকে তবুও কোথাও বাঁধেনি দেবেন বুড়োকে বাবার আসনে বসাতে।

আজ মালতিই নিজে নিজে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তার জীবনের সবচেয়ে বড়ো সিদ্ধান্ত এটি। বাবাকেও আগে বলতে সাহস পায়নি। তিনি কিন্তু খবর পেয়েই ছুটে এসেছেন।




সত্তরোর্ধ্ব বৃদ্ধ দেবেন চিসিক নিজের ঘরের দাওয়ায় বসে শীতের ওম নিচ্ছিলেন। আজ মালতি ঘরে নেই। তবু তার মন খুশিতে ভরপুর। তিনি নিজে তার মনের মানুষকে বিয়ে করতে পারেননি। তাই করেছে মালতি। অবশ্য শ্যাম গারো নয়। শ্যামদের সমাজে স্ত্রী বিয়ের পর বরের বাড়ি যায়। মালতিও শ্যামদের বাড়িতে গিয়েছে। আবার মালতি তার পলক পিতারর কাছেও মাঝে মাঝে থাকবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। শ্যামও রাজি। তার স্কুল তো পাশের গ্রামেই।
বসে থাকতে থাকতে চোখ বুজে আসছিল দেবেন বুড়োর। এক সময় ভারতীয় সৈনিক হিসেবে দেশ রক্ষার কাজ করেছেন তিনি। অবসর নেওয়ার পর বহুদিন দেওয়ানহাট গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য ছিলেন। সত্যিকারের জন সেবক বলে যে বিরল প্রজাতি এখনও টিকে আছে তিনি তাঁদের একজন। পাড়া –প্রতিবেশি সবার মুখে এখন এক কথা, “ দেবেন বুড়োকে কখনও লোভ করতে দেখা যায়নি।” মানুষের বিপদে প্রকৃত সেনার মতো তিনি আজও ঝাঁপিয়ে পড়েন। মুখে তার বয়সের ছাপ স্পষ্ট। কিন্তু চোখ ঝক ঝক করছে। দু বছর আগে মোটর সাইকেল দুর্ঘটনায় আহত হয়েছিলেন। তাই তার কোমর এখন পুরোপুরি সোজা করতে পারেন না। তবু কারও বিপদের কথাশুনলে তিনি ঠিকই হাজির হন। মনের ঝোরে আজও তিনি যুবক।

দেওয়ানহাট গারোপাড়ার গারো, ওঁরাও, রাজবংশী ও উদ্বাস্তু বাঙালিরা পাশাপাশি বাস করেন। পাড়ায় দুটি গির্জার চূড়ার লোভনীয় হাতছানিও দেবেনের পরিবারের মনের আদি ধর্মের ভিত টলাতে পারেনি।

দাওয়ার উপর পাটী বিছানো ছিল। ঝিমোতে ঝিমোতে চোখ বন্ধ করে চাদর জড়িয়ে তার উপরই শুয়ে পড়লেন। শুয়ে পড়তে ঝিমুনি কেটে গেল। ঘুম আসছে না। মালতির কথা ভাবতে ভাবতে মালতির মুখটা পাল্টে গেল অন্য আর একটি মুখে। তিনি দু হাতে চোখ রগড়ালেন। না , ভুল দেখছেন না। এতো দিন তো তাকে মনে পরেনি। আজ হঠাৎ.........

চোখে ভেসে উঠছে সেদিনের উৎসব মুখর দিনের ছবি। চলছিল অয়াংগালা উৎসব। তখন কৈশোর পেরিয়ে যৌবন সবে উঁকি মারছে। উৎসবের অঙ্গ ‘চু’ পান। ছোট- বড়ো সবাই চু পান করছে। এই নেশার পানীয় না হলে উৎসবের রং যে ফিকে হয়ে যায়। কতকগুলি ছেলে ও মেয়ে নেচে চলেছে। অন্য কোনো দিকে তাদের হুশ নেই। এই দলে যুবক দেবেন আছে। তার নজর আটকে গেছে তার বিপরীত দিকে নাচতে থাকে টানা টানা দুটি চোখ ও দুটি গোলাপী ঠোঁট। এখানকার মেয়ে নয় সে। জলপাইগুড়ি জেলার গারোপাড়া থেকে পাশের বাড়িতে বেড়াতে এসেছে সে। ফর্সা, পাতলা শরীরটা। দেখলেই কাছে টেনে নিতে ইচ্ছে হয়। নাচতে নাচতে বারে বারেই তার চোখ চলে যাচ্ছিল মেয়েটির দিকে। আর এই উৎসবে ছেলেমেয়েদের তো মেলামেশার সুযোগ থাকে। তারা পরস্পরকে প্রেম নিবেদন করতেও কসুর করে না। দেবেন দেখে মেয়েটিও তার দিকে তাকিয়ে আছে। মাঝে মাঝে চোখ সরানোর ভান করলেও দুজনে যে দুজনকেই দেখছে তা তারা বুঝতে পারে। চোখে চোখেই যেন ভালোভাসা গড়ে ওঠে। শুধু ঐ দিনই নয়, যে কদিন মেয়েটি এখানে ছিল দেবেন নাওয়া খাওয়া ভুলে গেছে। নদীতীরে লুকিয়ে তাদের দেখা হয়েছে। পরস্পর প্রেম নিবেদন করেছে।

যেমন হঠাৎ এসেছিল, তেমনি হঠাৎ করেই মেয়েটি চলে গেছে। দেবেন ঠিকানা আগেই নিয়ে রেখেছিল। সে ওদের বাড়িতে যেতে চেয়েছিল। কিন্তু যাওয়া হয়নি। শুনেছে পিস্‌তুতো দাদার সাথে দুদিন পরেই মেয়েটির বিয়ে হয়ে গেছে। তাই, গিয়ে আর কী লাভ ?

চোখের সামনে দৃশ্য পাল্টে যায়। বুঝে থাকা চোখে ভেসে ওঠে অন্য দুটি চোখ। এ চোখ জোড়া তো তার খুবই পরিচিত। ছোট বেলা থেকে দেখে আসছেন।

 পূর্ণিমা। পূর্ণিমা তার মামাতো বোন। মামা একদিন তাকে ডেকে বললেন, “ শোন তুই তো ডাগর হইচিস। পূর্ণিমাও তাই। দুই ঝনের বিয়া দিয়া দেই।” তিনি হ্যাঁ বা না কিছুই বলতে পারেননি। মনে তার আর একটি মেয়ের ছবি। কিন্তু চোখের সামনে বেড়ে ওঠা পূর্ণিমাকেও অস্বীকার করা যায় ? আবার মামার কথার উপর কথা বলতে সাহস হয়নি তার। তাদের সমাজে এটাই তো রীতি। এজন্যই তো তিনি প্রেমিকাকে পাননি। সেই গানটি গুণগুণ করে গেয়ে ওঠেন তিনি— “ বল গংসি গোংগাং-খো শলজা আংগা নাংগিরি। / মামা রেমাং গিজাদে শলজা অংগা নাংগিরি।” এদিকে বিয়ের তোরজোর চলতে থাকে। এ বিয়েকে বলে ‘ দোবিকদোকা’। মামা প্রাইমারি স্কুলের মাস্টার। তাই ধুমধাম করেই বিয়ে দেবেন।

বিয়ের দিন ছবি এবার তার অক্ষিপটে। সকাল থেকেই দেবেন বাড়ির বাইরে ঘুরছে। বাড়ির কাছেই যে ছোট্ট নদীটি, এক সময় তার ধারে গিয়ে সে বসে পড়ে। তাকে বাবা ও মা বলছে, এদিন বাড়িতে না থেকে একটু দূরে দূরে থাকতে হয়। নদীর ধারে বসে পূর্ণিমার কথাই ভাবছিল একমনে। আর দেহ মনে এক শিহরণ জাগছিল। পূর্ণিমার মুখে প্রেমিকার মুখই মিশে যেতে দেখেছিল সে। মাত্র কয়েক দিনের দেখা। না, একটুও ভুলতে পারেনি। ভোলা যায় না সেই চোখ, সেই মুখ। বিয়ের লগ্নে বন্ধুরা তাকে বাড়িতে নিয়ে আসে। তারা প্রথা মেনেই চিৎকার করে ওঠে, “ মামা, নোক্‌না চাওয়ারি হাই।” এক সময় দেখে পুর্ণিমা ও সে একই ঘরে বন্দী। আসলে তাকে বাড়ির বাইরে থাকতে বলে পুর্ণিমাকে তাদের বাড়িতে নিয়ে আসা হয়েছে। আর ঘরটাও তারই শোবার ঘর। লজ্জাবনত পুর্ণিমাকে দেখে কিছু বলতে পারেনি সে। পরদিন আলো ফোটার আগেই সে ঘর থেকে পালিয়ে যায়। তাকে আগের মতোই বন্ধুরা ধরে নিয়ে আসে আর পূর্ণিমার সাথে বন্দী করে রাখে। লজ্জা ও জড়তা মিশ্রিত পূর্ণিমার চোখ দুটিতে যে কী ছিল ? পূর্ণিমাকে রেখে তার পালাতে ইচ্ছা করছিল না।  কিন্তু পালাতে যে হবেই। রীতি মানতে হবেই। এদিনও সে পালিয়ে যায়। পরদিন বন্ধুরা আবার তাকে ধরে আনে। এর পরদিন কিন্তু আর সে পালায়নি। তাহলে বিয়েটা আর হত না। সে রাত তাদের আনন্দেই কাটে। একটা আচ্ছন্ন ভাব দুজনের মনে। সকাল থেকেই বিয়ের নানা আয়োজন চলে। বিয়ের আসরটা  এবার দেখতে পান তিনি। বিয়ে করানোর জন্য খামাল মামা এসেছেন। তার হাসি হাসি মুখটি স্পষ্ট দেখতে পান তিনি।

তাদের গোষ্ঠী পূর্ব-বাংলার সুসোই থেকে এখানে এসেছে। তাই তাদের ভাষার মধ্যে বাংলা ডূকে গেছে। আর বাংলায় পড়াশুনা করতে করতে তার নিজেদের ভাষা প্রায়ভুলেই গেছেন। খামাল মামার মুখে অনেকদিন পর গারো ভাষাতেই মন্ত্র শুনল সে। একটি মুরগি ও একটি মোরগের মাথা কেটে কাটা মুণ্ডু দুটি পাশাপাশি রাখা হয়েছিল। দেবেন বুড়োর চোখে এখন দুটি কাটা মুণ্ডু। মুণ্ডু দুটি লাভাচ্ছে। তিনি সহ্য করতে পারছেন না। কিন্তু কাতা মুণ্ডু দুটি কোথায় যায় তা যে দুজনকেই দেখতে হবে। এর উপর নির্ভর করছে তাদের বিয়ের ভবিষ্যৎ। পূর্ণিমার দিকে চোখ পড়তে দেখে সেও নিষ্পলক তাকিয়ে সেদিকে। না, মুণ্ডু দুটি দূরে সরেনি। পাশাপাশিই থেকেছে। বিয়ের বন্ধন দৃঢ় হবে। খামাল মামা আশীর্বাদ করলেন। তার আশীর্বাদ বৃথা যায়নি।
না, আর ভাবতে পারছেন না। একটু খুমের জন্য ছটফট করতে থাকেন। ঘুম আসে না। আজ যে তার কি হল ? আবার ! আবার ছবি ভাসে চোখে। এ যেন আস্ত একটি সিনেমা। আর সিনেমাই বা বলেন কী করে ? এর সবটাই বাস্তব। তার জীবনের ফেলে আসা দিনের ছবি।

দিনটা বিয়ের ২৫ বছরের পুরণের দিন। এই বিশেষ দিন্টির জন্য তিনি ছুটি নিয়ে বাড়ি এসেছেন। নানা রকম আয়োজন করেছেন। পূর্ণিমাকে সারপ্রাইজ দেবেন। তার পাকা ব্যবস্থা করেছেন। আর চাকরি থেকে অবসরের দিনও ঘনিয়ে এল।

ভোরে একটি গোঙানির শব্দে তার ঘুম ভেঙে যায়। চোখ বুজেই কান পাতেন। দেখেন পূর্ণিমার দিক থেকেই শব্দটি আসছে। আলটা জ্বালান। দেখেন পূর্ণিমার মুখ ফেনায় ভরে উঠেছে। মুখ দিয়ে একটি চিৎকার বেরিয়ে এসেছিল। পাশের ঘরে সদ্য যুবক ছেলে ঘুমাচ্ছিল। নিমেষে সে উঠে আসে। ততক্ষণে পূর্ণিমা সারপ্রাইজ দিয়ে নিথর হয়ে গেছে।

 পূর্ণিমাকে দাহ করা হয়। এতক্ষণ বাবা ও ছেলে কান্নার প্রবল শ্রোত বুকে চেপে সব কাজ সেরেছে। এবার তারা কান্নায় ভেঙে পড়লেন।



আজ তিনি একা। ছেলে শাশুড়ির বাড়িতে। একদিন তিনিও বাবা-মাকে ছেড়ে পূর্ণিমাদের বাড়িতে উঠে এসেছিলেন। মাতৃতান্ত্রিক সমাজে এটাই হয়ে আসছে চিরকাল। মালতি আজ আসবে। সে গারো সমাজের প্রথা ভেঙেছে। এটাই কী সমাজের ভবিতব্য ? এ প্রজন্ম যেন নিয়ম রীতিগুলিকে ভেঙে দেওয়ার জন্যই জন্ম নিয়েছে। তাহলে তাদের স্বাতন্ত্র্য বজায় থাকবে কী করে ? ভাবতে থাকেন।

তবে মানবিকতার আবেদন যে অনেক বড়ো। এক সময় সমস্ত ভাবনাকে ঝেড়ে ফেলে প্রতিক্ষা করেন মালতিও শ্যামের আগমন প্রত্যাশায়।

   

No comments:

Post a Comment