একাল সেকাল
সামান্য কথা কাটাকাটি থেকে রাগের পারদ যে এতটা চড়ে যাবে, বোঝেনি কেউ-ই ; না নীলাঞ্জন , না অনিতা ।
সকালে বাজারে যাওয়ার সময় অনিতা বারবার করে বলে দিলো, ‘ আজ কিন্তু মাছ এনো না। আমার শরীরটা খারাপ ।‘
বাজারে গিয়ে তা একেবারে ভুলে গিয়েছিলো নীলাঞ্জন । সবজি বাজারের শেষে এক কেজি দেড়শো গ্রামের একটা কাতলা নিয়েই ঘরে ঢুকলো সে ।
রাগে গজগজ করতে করতে মাছ কাটতে বসলো অনিতা ।
আজ রবিবার । অফিস ছুটি ।
দুপুরে খাওয়ার টেবিলে অনিতা কেবল নীলাঞ্জনের জন্যই ভাত বাড়লো । “শরীর খারাপ । খেতে ইচ্ছে করছে না ‘ বলে অনিতা যেই বাটিতে মাছের মুড়োটা রাখতে যাবে, অমনি নীলাঞ্জন বলে উঠলো, ‘ আমি ভাত খাবো না । খিদে নেই ।‘
এরপর উত্তর-প্রত্যুত্তর, অনুনয়-বিনয় চললো কিছুক্ষণ । রাগের পারদ চললো নীলাঞ্জনের। এক সময় সে ভাতের হাঁড়িটা ধরে আছাড় মারলো মেঝেতে ! সারা ঘরে ছড়িয়ে পড়লো ভাত ! ডুকড়ে কেঁদে উঠলো অনিতা । স্তম্ভিত নীলাঞ্জনও ! এতটা করা ঠিক হয়নি । একটু মানিয়ে নিলেই তো ...।
হঠাৎ দেওয়ালে টানানো মায়ের ছবিটার দিকে চোখ গেলো নীলাঞ্জনের । কেঁদে ফেললো ।
একটা সময় পাশের বাড়ি থেকে পান্তা চেয়ে এনে মা খাইয়েছে তাদের দুই ভাইবোনকে । আর আজ একটা সরকারি চাকরি পেয়েই .........!
মায়ের হাসি হাসি মুখটা কেমন যেন ফ্যাকাসে দেখাচ্ছে এখন । চেয়ারে বসেই মাথাটা নিচু করে ফেললো নীলাঞ্জন।
সূক্ষ্ম অনুভূতির সুন্দর প্রকাশ।
ReplyDeleteধন্যবাদ
Deleteদারুণ
ReplyDeleteধন্যবাদ
Delete